ইসরাইলি এনএসও গ্রুপের স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ছয় ফিলিস্তিনী মানবাধিকার কর্মীর তথ্য চুরি করা হয়েছে বলে উদঘাটন করেছেন নিরাপত্তা গবেষকরা।

এই উদঘাটনের খবর পরিবেশন করে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, এনএসও গ্রুপের পেগাসাস স্পাইওয়্যার দিয়ে ওই ছয় মানবাধিকার কর্মীর সেলফোন টার্গেট করা হয়। পরে এগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করা হয়।

ঠিক কখন বা কেমন করে ঘটনাটি ঘটে, এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানাতে পারেননি গবেষকরা। তবে তারা জানিয়েছেন, হ্যাক হওয়া ছয়টি আইফোনের মধ্যে চারটির সিম ইসরাইলি টেলিকম কোম্পানির।

ফিলিস্তিনী মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে এই স্পাইওয়্যার কেন ব্যবহার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে এনএসও গ্রুপ জানায় কেবল জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এরা সরকারকে তথ্য সরবরাহ করে।

বৃটিশ দৈনিক দ্যা গার্ডিয়ান-এর এক বিস্তারিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পেগাসাস যদি কোনোভাবে একবার ফোনের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে, তাহলে ব্যবহারকারীর অজান্তে ম্যালওয়্যারটিতার ফোনকে ২৪ ঘণ্টার নজরদারির যন্ত্রে পরিণত করার ক্ষমতা রাখে।

ওই ফোন থেকে ত মেসেজ বা ছবি পাঠানো হবে, কিংবা কল রিসিভ করা গকে, পেগাসাস তা কপি করে গোপনে পাচার করে। পাঠিয়ে দেয় নির্দিষ্ট জায়গায়। এই স্পাইওয়্যারটি ব্যবহারকারীর অগোচরে ফোনের কথাবার্তা রেকর্ড করতে পারে, এমনকি ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে গোপনে ভিডিও রেকর্ড করতে পারে।

আপনি কোথায় আছেন, কোথায় গিয়েছিলেন, অথবা কার কার সাথে দেখা করেছেন, পেগাসাস সে সম্পর্কেও জানতে পারে বলে মনে করা হয়। দ্যা গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, ২০১৬ সালে গবেষকরা পেগাসাসের সবচেয়ে প্রথম ভার্সনটির কথা জানতে পারেন। সে সময় কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোনে টেক্সট মেসেজ বা ইমেইলে পাঠানো হতো, যাতে থাকতো একটি লিংক।

সেই লিংকে ক্লিক করলেই পেগাসাস ফোনের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিতো। অবশ্য এরপর এনএসও গ্রুপ এই স্পাইওয়্যারের ক্ষমতা আরো কয়েকগুণ বাড়িয়েছে।

এখন সময়/শামুমো